Tuesday, May 28, 2019

সোনারগাঁ পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে সুরক্ষা দেয়াল ও মাটি ভরাট না করার অভিযোগ


গাজী মোবারকঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে সুরক্ষা দেয়াল ও মাটি ভরাট না করার অভিযোগ উঠেছে দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর আগেও একই সড়ক ও প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
পৌরসভার সহকারী কার্যালয়সুত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ শহর অবকাঠামো উন্নয়ণ প্রকল্পের আওতায় চারটি গুচ্ছের কাজ পায় সোনারগাঁ এন্টারপ্রাইজ ও রিপা কন্সট্রাকশন। কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলি দশমাস ধরে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়কে কার্পেটিং এবং আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ করে। রাস্তার আরসিসি ঢালাইয়ের ছয়মাস পেরিয়ে গেলেও সড়কের দুই পাশে সুরক্ষা দেয়াল নিমার্ণ ও মাটি ভরাট না করার অভিযোগ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। সুরক্ষা দেয়াল না থাকায় যে কোন সময় সড়কগুলো ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এতে দূর্ভোগে পড়বেন হাজার হাজার মানুষ।
গতকাল রবিবার পৌরসভার গোয়ালদী জিটকাতলা সড়ক, বাংলাদেশ লোক ও কারশিল্প ফাউন্ডেশনের পাশ থেকে ইছাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনির বাড়ি এবং গোয়ালদীর হরিশপুর থেকে গোয়ালদী কবরস্থান পর্যন্ত সড়কে দেখা যায়, সড়কের আরসিসি ঢালাই হলেও দুই পাশে সুরক্ষা দেয়াল নিমার্ণ ও মাটি ভরাট করা হয়নি। এতে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ওসমান গনি বলেন, এ সড়কের নির্মাণকাজে যে ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, তা খুবই নি¤œমানের। সুরক্ষা দেয়াল না থাকায় কয়েকমাসের মধ্যে সড়কটি ভেঙ্গে যাবে। গত কয়েকমাস আগে সে সুরক্ষা দেয়ালের জন্য সড়ক ঘেষে আরসিসি পিলারের রড উঠিয়ে আবার কাজ বন্ধ করে রেখেছে। তার ক্ষমতার কাছে আমরা অসহায়।
পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাঈম আহমেদ রিপন বলেন, সুরক্ষা দেয়াল না থাকায় ভারি বর্ষন হলে সড়কটি বেঙ্গে যেতে পারে। আমি ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি, সে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুরক্ষা দেয়াল ও মাটি ভরাট করে দেবে।
সোনারগাঁ এন্টারপ্রাইজের মালিন শাহীন মিয়া বলেন,‘আমি কাজ না করলে দুনিয়ার কারো ক্ষমতা নেই আমাকে কাজ করানোর। গ্রাম, রাস্তা আমাদের। কাজ না করলে আপনাদের (সাংবাদিক) কি সমস্যা। যদি পৌরসভায় বাজেট আসে মন চাইলে কাজ করব না চাইলে করব না।’
শুধু সুরক্ষা দেয়াল নির্মানের অভিযোগ ছাড়াও নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং চারটি কাজে দরপত্রের কারসাজির অভিযোগও করেছে একাধিক ঠিকারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের জুন মাসে ঢাকার ঢাক নামের একটি পত্রিকায় বিজ্হপ্তি দিয়ে দরপত্র আহবান করে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহাম্মেদ প্রতিবেদককে জানান, ঠিকাদারের চাহিদা একটু কাজ করে বিল তুলে বাকি কাজ করবে। যা সম্পূর্ণ বে আইনি। আমি তাদের বলেছি কাজ সমাপ্ত করে বিল তুলে নিয়ে যান। আপনাদের বিল রেডি আছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমানের সাথে কথা বলতে চাইলেও তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থাকায় তার দায়িত্ব পালন করছেন পৌরসচিব। সরেজমিন পৌরসভায় গিয়ে জানা যায়, সামসুল আলম সপ্তাহে দু’তিন দিন অফিসে আসেন তাও বেলা ২/৩ টার সময়। এ ব্যাপারে কথা বলতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


No comments:

Post a Comment

করোনায় কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে আবারও এমপি খোকা

করোনায় কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে আবারও এমপি খোকা আজকের সংবাদ ডেস্কঃজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য,ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত মহাসচিব ও নারায়ণ...