Wednesday, June 26, 2019

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মিম আবাসিকে রমরমা দেহ ব্যবসা


প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মিম আবাসিকে রমরমা দেহ ব্যবসা





আজকের সংবাদ ডট কমঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মীম আবাসিক বোডিং ব্যবসার অন্তরালে রমরমা দেহ ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষের আনাগোনা থাকে এ বোডিংয়ে।বছর খানিক আগে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দেহ ব্যবসার অভিযোগে অপর একটি বোডিংয়ে হামলা চালালে সাময়িকভাবে মীম বোডিংটিতে দেহ ব্যবসা বন্ধ রাখা হয়। পরে সুযোগ বুঝে পুনরায় এ বোডিংয়ে একচ্ছত্র ভাবে দেহ ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁওয়ের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোন ধরনের প্রদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলেও অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।





জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় পিরোজপুর গ্রামের স্থানীয় প্রভাবশালী হাজী তাজু মোল্লার মালিকানাধীন মোল্লা প্লাজায় গড়ে উঠে মীম আবাসিক বোডিং নামের একটি আবাসিক হোটেল। আবাসিক বোডিংটি গড়ে উঠার পরই এখানে শুরু হয় অসামাজিক কার্যকালাপ,মাদক ও দেহ ব্যবসা। প্রতিদিন বাহির থেকে বিভিন্ন বয়সের নারী এনে বোডিংটিতে চলে অবৈধ দেহ ব্যবসা। এছাড়া দেহ ব্যবসার অন্তরালে চলে রাতভর জুয়া ও মাদক সেবন।





এ অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগে সোনারগাঁও থানা পুলিশ এ বোডিংটিতে অভিযান চালিয়ে দুইজন নারী ও খদ্দেরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও সেখানে শুরু করে অবৈধ দেহ ব্যবসা।





স্থানীয় মুসল্লীরা জানায়,  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় নোয়াব প্লাজার অবস্থিত কুইন গার্ডেন গেস্ট হাউজ নামের আবাসিক হোটেলে গত বছর দেরএক আগে জুম্মার নামাযের পর স্থানীয় মুসল্লীরা একত্রিত হয়ে হামলা ও ভাংচুর করে আট জনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। এর পর থেকে কুইন গার্ডেন গেস্ট হাউজটি একে বারে বন্দ হয়ে যায়, সেই ঘটনার পর সোনারগাঁও থানা পুলিশ মীম আবাসিক বোডিংয়ে অভিযান চালালে পনের দিনের মতো মীম-আবাসিক বোডিংয়ে দেহ ব্যবসা বন্ধ থাকার পর পূনরায় আবার সেখানে দেহ ব্যবসা শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।





নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিরোজপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দারা জানান, সোনারগাঁওয়ের মতো একটি ঐতিহাসিক ও পবিত্র স্থানে আবাসিক হোটেল নামের অবৈধ দেহ ব্যবসা তা কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছোট ছেলে মেয়ে আছে। চোখের সামনে এভাবে দেহ ব্যবসা চলতে থাকলে একদিন তারাও বিপদগামী হতে পারে। তারা আরো দাবি করেন, পুলিশী অভিযান নয়, এগুলোকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। কিছু বহিরাগত লোক সোনারগাঁওয়ে প্রবেশ করে আবাসিক হোটেল করে সোনারগাঁওয়ের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।





এ ব্যাপারে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার জানান, আবাসিক হোটেলগুলোতে আমরা নিয়মিত নজরদারীর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। যাতে হোটেলগুলোতে কোন অসামাজিক কার্যকালাপ চলতে না পারে।





এ বিষয়টি সোনারগাঁও থানা অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মনিরকে জানালে তিনি বলেন, মিম আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি আমরা খুব শীঘ্রই যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করব।






No comments:

Post a Comment

করোনায় কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে আবারও এমপি খোকা

করোনায় কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে আবারও এমপি খোকা আজকের সংবাদ ডেস্কঃজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য,ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত মহাসচিব ও নারায়ণ...